ভিন্ন গদ্য
ঝিরঝিরে বৃষ্টি, ঘুঘু আর চালকুমড়ো
সোমনাথ বেনিয়া
অজগরের স্বভাব। পেটে চাপ পড়লে চোখে চাপ। তার উপর আকাশ যদি কালো হয়ে আসে, গুড়গুড় করে মেঘ ডাকে এবং ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে গাছে বসা ঘুঘু নির্বিকার ভাবে ভিজতে থাকে, তাহলো শো মাস্ট গো অন। এককথায় ইনক্রেডিবল! কিন্তু সমস্তটাই প্রকৃতির ব্যাপার-স্যাপার। ভাঙাচোরা শরীর-মন কতটুকু তার উপলব্ধি করতে পারবে যেখানে অনুভূতি অবসাদের দোসর হয়ে ঘোমটা দিয়ে আছে। এই অবসাদ অনেকটা টালির উপর শুয়ে থাকা চালকুমড়ো যার গায়ের রোঁয়া কোনো মানসিক বিকারের শীর্ষকথা। এসবকে পাশ কাটিয়ে নিয়তির সাথে নিয়ত পাঞ্জা লড়ে দীর্ঘজীবন লাভের জন্য চোঁয়াঢেকুরের উপর যোয়ানের আবদার ঢেলে দিতে হয়। সাময়িক স্বস্তি ফিরে এলে প্রিয় বইয়ের ভিতর মগ্ন মনের পেজমার্ক জেগে ওঠে। হৃদয় তখন থেমে যায় বিটুইন দ্য লাইনে। অনেক সময় মনে হয় এসব আনকনশাসের খেলা। কিতকিত খেলতে-খেলতে কোন ঘরে ভাঙা হাঁড়ির পোড়া মাটির চারা ফেলবে বোঝা মুশকিল। এই ঘর কেনা, ওই ঘর কেনা, যেন বাজারে বেরিয়ে বিক্রেতার সাথে দর কষাকষির আলেখ্য মুখস্থ করা। মন তো জাদুকর, তাই স্বভাব তারই ইচ্ছার দ্বারা পরিচালিত। এক শুনছে, এক বুঝছে আর এক করছে। অনেক মানসিক স্তর, স্তরে-স্তরে সংঘাত। উত্তাপ বিনিময়। প্রেসার বেড়ে যাওয়া। মাথা ঘুরে পড়ে গেলে সব দোষ বাথরুমের। আসলে নিজের সামনে নিজেকেই বহুবার দাঁড়াতে হয় তা কে বোঝে। মূল জায়গায় অঙ্ক ভুল হয় আর মার্জিনে করা রাফ ওয়ার্ক সঠিক।
এই যাপনচিত্র ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকে। ফ্লেমিঙ্গো পাখির হাঁটুর মতন সামনের দিকে ভাঁজ হয়। আসলে সেখানে পশম দিয়ে ঢাকা থাকে। নজর পড়ে না তার দীর্ঘ গলার সৌন্দর্যে মন গদগদ হয়ে তার গায়ের লাল পাখনার রঙের সঙ্গে মিশে থাকে বলে। এসব ক্ষেত্রে সরলতা বিরল নয়। সন্দেহ বড়ো ভয়ংকর। অজস্র বাণী পড়ে তাকে বাগে আনা কঠিন। রিপুর দোষ। সৃষ্টিকর্তার মতিভ্রম। এক এবং বহু বলে গণ্ডগোল পাকিয়ে বসে আছে। তাই কার চোখে কে যে কখন আন্ডার লাইন হয়ে যায় বলা মুশকিল। সম্মোহন নাকি প্রশ্নবোধক রাশিচক্র। গ্রহের ফের। এই হেরাফেরিতে সম্পর্কের মধ্যে যতিচিহ্নের পরিমাণ বেড়ে চলে। তিনি তো হাতে পেনসিল দিয়ে নিজের হাতে ইরেজার রেখেছেন। শুধু নৈবেদ্যের থালায় প্রণামী চান। অন্যদিকে জীবন হেরে কখন যে ভগ্নাংশের হয় হয়ে বসে আছে তার খবর কে রাখে। একাক্ষরা বীজমন্ত্র যতই জপের মালায় থাকুক, যতই দোহাই দিয়ে আয়ুক্ষয় রোধ হোক, কষ্ট বলতে বিষয়টি অনুভূতির চোরাকুঠরিতে চুপচাপ বসে থেকে ঘুসঘুসে আগুনকে উসকে দেয়। প্রিয়তমা হাত ধরে বলে পাশে আছি, অথচ দরজা খুললে ধু-ধু মাঠ ছাড়া কিছু নেই ...
সোমনাথ বেনিয়া
অজগরের স্বভাব। পেটে চাপ পড়লে চোখে চাপ। তার উপর আকাশ যদি কালো হয়ে আসে, গুড়গুড় করে মেঘ ডাকে এবং ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে গাছে বসা ঘুঘু নির্বিকার ভাবে ভিজতে থাকে, তাহলো শো মাস্ট গো অন। এককথায় ইনক্রেডিবল! কিন্তু সমস্তটাই প্রকৃতির ব্যাপার-স্যাপার। ভাঙাচোরা শরীর-মন কতটুকু তার উপলব্ধি করতে পারবে যেখানে অনুভূতি অবসাদের দোসর হয়ে ঘোমটা দিয়ে আছে। এই অবসাদ অনেকটা টালির উপর শুয়ে থাকা চালকুমড়ো যার গায়ের রোঁয়া কোনো মানসিক বিকারের শীর্ষকথা। এসবকে পাশ কাটিয়ে নিয়তির সাথে নিয়ত পাঞ্জা লড়ে দীর্ঘজীবন লাভের জন্য চোঁয়াঢেকুরের উপর যোয়ানের আবদার ঢেলে দিতে হয়। সাময়িক স্বস্তি ফিরে এলে প্রিয় বইয়ের ভিতর মগ্ন মনের পেজমার্ক জেগে ওঠে। হৃদয় তখন থেমে যায় বিটুইন দ্য লাইনে। অনেক সময় মনে হয় এসব আনকনশাসের খেলা। কিতকিত খেলতে-খেলতে কোন ঘরে ভাঙা হাঁড়ির পোড়া মাটির চারা ফেলবে বোঝা মুশকিল। এই ঘর কেনা, ওই ঘর কেনা, যেন বাজারে বেরিয়ে বিক্রেতার সাথে দর কষাকষির আলেখ্য মুখস্থ করা। মন তো জাদুকর, তাই স্বভাব তারই ইচ্ছার দ্বারা পরিচালিত। এক শুনছে, এক বুঝছে আর এক করছে। অনেক মানসিক স্তর, স্তরে-স্তরে সংঘাত। উত্তাপ বিনিময়। প্রেসার বেড়ে যাওয়া। মাথা ঘুরে পড়ে গেলে সব দোষ বাথরুমের। আসলে নিজের সামনে নিজেকেই বহুবার দাঁড়াতে হয় তা কে বোঝে। মূল জায়গায় অঙ্ক ভুল হয় আর মার্জিনে করা রাফ ওয়ার্ক সঠিক।
এই যাপনচিত্র ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকে। ফ্লেমিঙ্গো পাখির হাঁটুর মতন সামনের দিকে ভাঁজ হয়। আসলে সেখানে পশম দিয়ে ঢাকা থাকে। নজর পড়ে না তার দীর্ঘ গলার সৌন্দর্যে মন গদগদ হয়ে তার গায়ের লাল পাখনার রঙের সঙ্গে মিশে থাকে বলে। এসব ক্ষেত্রে সরলতা বিরল নয়। সন্দেহ বড়ো ভয়ংকর। অজস্র বাণী পড়ে তাকে বাগে আনা কঠিন। রিপুর দোষ। সৃষ্টিকর্তার মতিভ্রম। এক এবং বহু বলে গণ্ডগোল পাকিয়ে বসে আছে। তাই কার চোখে কে যে কখন আন্ডার লাইন হয়ে যায় বলা মুশকিল। সম্মোহন নাকি প্রশ্নবোধক রাশিচক্র। গ্রহের ফের। এই হেরাফেরিতে সম্পর্কের মধ্যে যতিচিহ্নের পরিমাণ বেড়ে চলে। তিনি তো হাতে পেনসিল দিয়ে নিজের হাতে ইরেজার রেখেছেন। শুধু নৈবেদ্যের থালায় প্রণামী চান। অন্যদিকে জীবন হেরে কখন যে ভগ্নাংশের হয় হয়ে বসে আছে তার খবর কে রাখে। একাক্ষরা বীজমন্ত্র যতই জপের মালায় থাকুক, যতই দোহাই দিয়ে আয়ুক্ষয় রোধ হোক, কষ্ট বলতে বিষয়টি অনুভূতির চোরাকুঠরিতে চুপচাপ বসে থেকে ঘুসঘুসে আগুনকে উসকে দেয়। প্রিয়তমা হাত ধরে বলে পাশে আছি, অথচ দরজা খুললে ধু-ধু মাঠ ছাড়া কিছু নেই ...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for your valuable comment.